১। ইনবক্সে কিছু বলার থাকলে সরাসরি বলে ফেলা। সালাম/হাই-হ্যালোর রিপ্লাইয়ের অপেক্ষা না করা।

যেমন, আসসালামু আলাইকুম, আপনার থেকে অমুক বিষয় জানতে চাই / আমি আপনার সাথে বা আপনার জন্য কাজ করতে চাই / দেখা করতে বা মিটিং করতে চাই।

নইলে একবার সালাম, অনেক পরে জবাব। তার অনেক পরে আবার সালাম (যেহেতু অনেকের ধারণা আগের সালাম বাসি হয়ে যায়!) এভাবেই বেশ কয়েকবার চলবে, মূল কথা বলা হয়ে নাও উঠতে পারে।

ফেক আইডি ব্যবহার করে থাকলে / যাকে ম্যাসেজ দিচ্ছেন সে আপনার “অনলাইন নামের” সাথে পরিচিত না থাকলে পরিচয়ও বলে দেয়া। নইলে পরিচয় জিজ্ঞেস করেও সময় নষ্ট হবে। আর ‘for god’s sake’ পরিচয় জিজ্ঞেস করলে ‘ভুলেই গেছেন/আমাদের কি আর মনে রাখবেন?’ না বলা।

নিচের ৩টি সাইট খুবই প্রাসঙ্গিক। আমি মাঝে মাঝে কোনো গ্রুপ-পোস্টের কমেন্ট সেকশনে প্রথমটি দিয়ে দেই। ২য়টি হয়ত দেই না, কিন্তু উপরে তো লিখলামই। এখন হয়ত এই ব্লগ পোস্ট ধরিয়ে দিতে হবে।

https://dontasktoask.com

https://nohello.net/en

https://xyproblem.info

২। অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট না করা।

আচ্ছা, ভিডিওর কমেন্টে কালেমা, কুরআন-হাদীসের বাণী, মাকে নিয়ে লেখা বাণী পোস্ট করে কী লাভ হয়?

এটা কি জাস্ট কিছু লাইক পাওয়ার ধান্ধা? নাকি ফলোয়ার পাওয়ার? মনে তো হয় না ওসব দেখে কেউ ফলো করে!

৩। ইগনোর + হাইড + রিপোর্ট করতে শেখা

নইলে খারাপ কিছু তৈরিতে, প্রচারে আপনার অবদান থেকে যাবে।

(যেমন, ইসলামবিদ্বেষী কোনো লেখকের পোস্টে/কার্টুনে গালি দিয়ে কমেন্ট)। সেক্ষেত্রে তো রিচ/অ্যালগরিদম ইত্যাদির জন্য আরো সহায়ক হবে।

আর পরিবার তুলে গালি দিলে ইসলাম কায়েম হবে না / বা হুমকি দিয়ে। তার পরিবারও হয়ত তাকে নিয়ে বিব্রত। আবার পরিবারের সদস্য আপনার গালি দেখেও বিব্রত! (কারণ গালিটি হয়ত তাকে নিয়েই!)।

৪। মিথ্যা কমেন্ট না করা।

যেমন, একাধিক বিবাহের আলোচনা চলছে, কেউ ফেক আইডি খুলে কমেন্ট করলো ‘আমি আমার স্বামীকে ২য় বিয়ে করিয়ে দিয়েছি/স্বামীর ২য় বিয়ে করতে আপত্তি নেই।’ যদি বাস্তবে কোনো নারী- যিনি এরকম করেছেন- তিনি তো করতেই পারেন।

কিন্তু দাওয়াহ/হিকমাহ ভেবে মিথ্যা কমেন্ট না করা।

এমনিভাবে “আমি নওমুসলিম, এভাবে এভাবে সকল বাঁধা অতিক্রম করেছি…” লিখে মিথ্যা গল্প না বলা।

এগুলো তো আমার লেখা / নিজস্ব উপলব্ধি, এমনিতে অনলাইনে তো অনেক পাওয়া যায়- যেমন

https://www.kaspersky.com/resource-center/preemptive-safety/what-is-netiquette